জীবন্ত ব্রয়লারকে ব্যবহারকারীর খাওয়ার জন্য প্রস্তুত করাতে যে ধাপগুলো সম্পন্ন করা হয় একে ব্রয়লার প্রক্রিয়াজাতকরণ বলা হয়। জবেহ করা, পালক ছড়ানো, নাড়ি-ভুঁড়ি ফেলে দেওয়া, বরফে ঠান্ডা করা, টুকরো করে কাটা এবং মোড়কাবৃত করা এই কাজের অন্তর্ভুক্ত।
ব্রয়লার প্রক্রিয়াজাতকরণ নিম্নলিখিত কারণে করা হয়ে থাকে:
১. প্রক্রিয়াজাতকৃত ব্রয়লার ফ্রোজেন করে সংরক্ষণ করা যায়, সহজে পরিবহন করা যায় এবং সুবিধামত বিক্রি করা যায়।
২. প্রাকৃতিক দুর্যোগ, অবরোধ, হরতাল, পরিবহন সমস্যা ইত্যাদি কারণে সময়মতো বাজারজাতকরণের জন্য।
৩. ব্রয়লারের বাজার দর হঠাৎ কমে গেলে খামারে মুনাফা অর্জন ব্যাহত হতে পারে।
বাংলাদেশে অধিকাংশ ক্রেতাই বাজার থেকে জীবন্ত ব্রয়লার ক্রয় করে নিজেরাই ধর্মীয় বিধি অনুযায়ী জবেহ্ করে পালক ছাড়িয়ে,নাড়িভুঁড়ি ও অন্যান্য উচ্ছিষ্টাংশ ফেলে দিয়ে বিভিন্ন অংশ কেটে ভালোভাবে ধুয়ে রান্নার জন্য তৈরি করে বা রেফ্রিজারেটরে রেখে দেয় ।
তবে ইদানিং বড় বাজারগুলোতে বিক্রেতারা এই কাজটি করে থাকে; যেমন-
ক্রেতা ড্রেসড মাংস পলিথিন প্যাকে বাসায় নিয়ে এসে বিভিন্ন অংশ কেটে ধুয়ে রান্না করে। এ প্রচলিত পদ্ধতিতে মুরগির রক্ত, পালক, নাড়িভুঁড়ি ও অন্যান্য উচ্ছিষ্টাংশ ডাস্টবিন বা অন্যত্র ফেলে দেওয়া হয়। অথচ এই মূল্যবান উপজাতগুলো দিয়ে পোল্ট্রি খাদ্য তৈরি করা যায়। যদি কোনো নির্দিষ্ট প্রক্রিয়াজাতকরণ প্লান্টে ব্রয়লার প্রক্রিয়াজাত করা হতো, তবে এই উপজাত কাজে লাগানো যেত ৷